Header Ads Widget

Responsive Advertisement

পরাণ দিয়ে ছুঁই - পর্ব ২

"তুমি নারী নাকি পরী?"
এই গান তো মেয়েদের জন্য গাওয়া হয়েছে। তাই আমি আপনার জন্য গাইলাম।কতো কষ্ট করে মাথা খাটিয়ে বের করেছি বলেন তো।
"আপনি পুরুষ নাকি পরা?"
সৌন্দর্য আর তালহা চোখ মুখ কোচকে ফেলে ইসরাতের কথা শুনে। এই মেয়েটার নির্ঘাত মাথায় সমস্যা আছে। নয়তো কিসব আবোল তাবোল বলে চলেছে।
নূর আর সহ্য করতে পারলো না ইসরাতের কথা।নিজের বান্ধবী কে স্পেশাল চাইল্ড বলে সম্বোধন করেছে সেই দিকে খেয়াল ও দিলো না। আর পড়ে যেতে নিয়েছে একবার জিজ্ঞেস ও করলো না ঠিক আছে কি না। যদি ইসরাত ধরতো ও পড়ে যায় সময় তাহলে কি লোকটা এই কথা বলে ওকে অপমান করতে পারতো? মন থেকে যেনো উত্তর এলো উহু কখনো না। মুহূর্তের মধ্যে মনটা খারাপ হয়ে যায়। সরি বলার কথাটা ভুলে গিয়ে ইসরাতের উপর অভিমান করে সেখান থেকে চলে যায়।
ইসরাতের কথায় তালহা একটু রা'গী স্বরে বলে, এই মেয়ে কি বলছো মাথা ঠিক আছে তোমার? আর আমি তোমার কি হই?


--- কেনো স্যার হোন।
তাহলে স্যারের সামনে এসব কি করে বলছো তুমি? পরাণে ভয় ডর বলতে কি কিছু নেই? ঠাটিয়ে কানের নিচে একটা দিলে পরী,পরা, জিন,ভূত সব ছুটে যাবে।
যাও এখান থেকে।
ইসরাত মুখ ভেংচি কাটে।যেতে যেতে বলে,,, নিজে তো আমায় পাত্তা দেয় না। এখন অন্য কাউকে পটাবো তার সুযোগটা ও দেয় না। বা'জে লোক একটা।আরো নানান কথা বলতে বলতে সেখান থেকে চলে যায়।
সৌন্দর্য তালহার দিকে তাকিয়ে বলে,,
কিরে বেটা তোর পাখি দেখি অন্য ডালে বাসা বাঁধতে চায়। সময় থাকতে নিজের খাঁচায় বন্দী করে ফেল।নয়তো উড়ে গিয়ে অন্যের খাঁচায় বন্দী হবে আর তুই তখন বসে বসে আঙুল চু'ষ'বি।
ছিঃ সৌন্দর্য এসব কি বলছিস তুই? ও আমার ছাত্রী। আর ছাত্রী আর স্যারের সম্পর্ক টা তো তুই জানিসই। আর কিছু তালহা বলার আগেই সৌন্দর্য থামিয়ে দেয়।
প্লিজ ভাই অফ যা বস্তা পঁচা ডায়লগ মারিস না।
আচ্ছা মারলাম না যা। তুই এটা বল আমায়,,নূর কে তুই স্পেশাল চাইল্ড বললি কেন?
"যে যেটা তাকে সেটা বলবো না?"
কোন দিক দিয়ে ওরে তোর স্পেশাল চাইল্ড মনে হয় বলতো?
"সবদিক দিয়েই।যদিও বা ভালো না দেখিনি।" কিন্তু তুই আমাকে দেখতে পারিস।প্রথমে মুখ আর ঘার।আর এখন ডিরেক্ট বুকে। দাঁতে দাঁত চেপে বলে সৌন্দর্য। "
এটা এক্সিডেন্ট ছিলো সৌন্দর্য। ও তো আর ইচ্ছে করে করেনি। আর তুই ভালো করে না দেখে ভুল করেছিস।বাদ দিলাম সে সব কথা। তুই কি জানিস আমাদের কলেজের সবচেয়ে ব্রাইট স্টুডেন্ট হলো নূর। এইবার আমি সিউর দিয়ে বলতে পারি রেকর্ড করবে সে। তোর রেজাল্টের রেকর্ড টা ভাঙবে।ভেবেছিলাম তুই মনে হয় একটা পড়াকু এলিয়েন,যে সব সময় বইয়ের ভিতর মুখ লুকিয়ে থাকতো। কিন্তু না ভাই তোর মতো আরেকটার সন্ধান পেয়েছি। আর এমন করে বলিস না মেয়ে টা অনেক সহজ, সরল ও নরম মনের মানুষ। তারপর বিরবির করে বলে,, শুধু যার সাথে চলে সে ছাড়া।
----------------------------
নূর একা একা ঘুরে চলেছে। পিছন পিছন ইসরাত কখন থেকে সরি বলে চলেছে তাকে পাত্তাই দিচ্ছে না।
দোস্ত তুই রেগে আছিস কেন বলতো?
নূর আশেপাশে চোখ বোলাতে বোলাতে বলে,,আমি কি একবার ও বলেছি আমি রে'গে আছি?
তোর বলতে হবে কেন? আমি এমনিতেই বুঝতে পারি।
বলনা দোস্ত।
আমি ঐ গম্ভীর মুখু লোকটা কে সরি বলতে গিয়েছিলাম। গাড়িতে হয়ে যাওয়া ঐ ঘটনার জন্য। কিন্তু সরি বলতে গিয়ে আরেক বিপত্তি ঘটিয়ে ফেললাম। আমার ইচ্ছে করছে আমার হাত গুলো কে একটা কঠোর শাস্তি দিতে।
এতে তোর তো কোনো দোষ দেখছি না। পরে সরি৷ বলে দিস।
লোকটা আমাকে খারাপ ভাবছে ইশু। ঐসময় বাসে ম্যানার্সলেস বলেছে। আর তখন স্পেশাল চাইল্ড বলেই মুখটা কে ছোট করে করুন দৃষ্টিতে তাকায় ইসরাতের দিকে। আমি এখন লোকটার সামনে গিয়ে সরি বলতে৷ ও পারবো না।
কেন?
দেখিস না লোকটার কাছে গেলেই কিসব কান্ড ঘটে। জীবনে যেগুলো হয়নি সেগুলোই হয়।
এতো মন খারাপ করিস না দোস্ত। আমি একটা বুদ্ধি দেই?
কি? কিন্তু কোনো শ/য়তানি বুদ্ধি দিবি না আগেই বলে দিচ্ছি।
আরে আগে শোন আমার কথা। না শুনেই কেন তুই কমপ্লিমেন্ট দিয়ে দিচ্ছিস।
"আচ্ছা বল শুনি।"
ঐ পাকা তালের কাছে বলে দে।ঐ বেটা গিয়ে বলে দিবে সিম্পল।
ছিঃ ইশু। উনি তোর স্যার হয়।এমনিতেই তুই লোকটা কে প্রচুর জ্বালাস। তার উপর উনার সুন্দর নাম টা কে কেনো বিকৃতি করছিস?
আরে রাখ।উনি তো আর শুনতে পাচ্ছে না। এসব রেখে এবার বল আইডিয়া টা কেমন দিলাম?
মন্দ বলিস নি।আমি তাহলে তালহা ভা,,, না মানে স্যারকে বলে দিবো আমার সরি টা যেনো ঐ লোক টা কে দিয়ে দেয়। এই প্রথম তুই একটা ভালো আইডিয়া দিলি।
আমি সব সময়ই তোকে ভালো আইডিয়া দেই।তুই আমার গুরুত্ব বুঝিস না মন খারাপ করে বলে ইসরাত।
নূর কিছু বলতে নিবে তার আগেই,,, ওদের সামনে রিতা আর তার সঙ্গী সাথীরা ওদের সামনে এসে দাঁড়ায়।
কিরে সুন্দরী রমনীরা কি নিয়ে আলাপ চলছে শুনি?
ইসরাত একটু সামনে এগিয়ে এসে বলে তোকে বলবো কেন? আর অবশেষে স্বীকার করলি আমরা সুন্দরী। এবার না হয় নিজের অহংকার টা একটু কমিয়ে করিস ঠিক আছে?
তোর মুখ টা একটু বেশিই চলে ইসরাত।
কি করবো বল রিতা কিছু কিছু মানুষ কে দেখলে আমার মুখ টা কনট্রোল হারা হয়ে যায়।
তা সারাদিনই তো দুইটা তালহা স্যারের পিছনে পরে থাকিস। এখন নতুন জনকে দেখে যেমন আরেকটু বেশি আদিখ্যেতা করছিস। ভুলেও ন'জর দিবি না। সৌন্দর্য স্যারের উপর আমার ন'জর পরেছে। সো তাকালে ও দুলাভাই নজরে তাকাবি বুঝলি? রিতা বলে।
ইসরাত কিছু বলতে নিবে তার আগেই নূর ইসরাতের হাত আকড়ে ধরে। মাথা নাড়িয়ে ইশারায় কিছু না বলতে বলে। এসব ঝামেলা নূরের একদম ভালো লাগে না। তার উপর রিতা যা মেয়ে কি না কি বলে বা করে বসে।
দুইজন ই অন্যদিকে চলে যায়।
সৌন্দর্য ঘুরে ঘুরে সবকিছুর ছবি আর ভিডিও করছে।যদিও বা এসব তার কাছে নতুন কিছু না। অনেকবার এসেছে।কিন্তু বাড়িতে তো একজন আছে না আসতে পেরে অর্ডার দিয়ে দিয়েছে সবকিছু যেনো ভিডিও করে সেন্ড করে।
ইসরাত একের পর এক সেলফি ক্লিক করে চলেছে। মাঝে মাঝে নূর কে ও ডাকছে আসার জন্য। একসাথে তুলবে। নূর একটা তুলেই সরে গেছে।
চারিপাশ টা ঘুরে ঘুরে দেখে উপভোগ করছে। মাঝে মাঝে নিজের সাইড ব্যাগ টা থেকে মিনি ডায়রী বের করে কি যেনো লিখছে।
এইইই নূর আয় না দোস্ত। এখানে পিছনের ভিউ টা অনেক সুন্দর। দেখ সেলফি সুন্দর আসছে। কিছু টা জোরেই বলে ইসরাত।
তুই তোল তোর সেলফি। আমি এমনিতেই উপভোগ করছি।এসবের চক্করে আসল জিনিস মিস করছিস তুই। এসব স্মৃতি মোবাইলে না রেখে নিজের মনে গেঁথে রাখ। যখন মন খারাপ হবে চোখের সামনে ভেসে উঠবে।কৃত্তিমত্তা ছেড়ে নিজের চোখ আর মন জুরিয়ে নে।
সৌন্দর্য পাশেই ছিলো কথা গুলো শুনতে পায়।নিজের ফোন টা কি যেনো ভেবে পকেটে ঢুকিয়ে অন্য দিকে চলে যায়।
---------------------------------
ঘুরাঘুরি করে সকলেই রিসোর্টে ফিরে এসেছে। আগামীকাল তারা রওনা দিবে।সকলেই খাবার খেয়ে যে যার রুমে বিশ্রাম নিচ্ছে।
তালহা সৌন্দর্যের রুমে এসেছে। সকলের সাথে গ্রুপ কলে কথা বলবে। সৌন্দর্য ফোনের কাছে নিজের মুখটা নিতেই তার এক বন্ধু বলে উঠে,,,
"কিরে চাঁদের গায়ে কলঙ্ক লাগিয়েছে কে?"

"কিরে চাঁদের গায়ে কলঙ্ক লাগিয়েছে কে?"
রোহাননের কথায় সকলেই ভালো করে সৌন্দর্যের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
এবার সকলেই বলে উঠে তাইতো।
এই সৌন্দর্য তুই লুকিয়ে চুরিয়ে কি করেছিস আমাদের বল বলছি। লক্ষন তো ভালো মনে হচ্ছে না মামা। শেষ মেষ তুই কি করলি? আমাদের বলছিস না কেন? রোহান কৌতুক করে বলে।
এই তোরা চুপ যা সবাই। আমাদের চাঁদের গায়ে কলঙ্ক লাগতে যাবে কোন দুঃখে বলতো?
"চাঁদের গায়ে নূরের ছোয়া লেগেছে। "
বুঝলি সবাই? তালহা বলে।
কি রে সৌন্দর্য ঘুরতে গিয়ে তুইও জুটিয়ে ফেললি।হায় হায় আমার এখন কি হবে রে? আমি তোকে কতো ভালোবাসি এতোদিন যাবত।তুই কিনা আমাকে ঠকিয়ে দিলি? বলেই কান্নার অভিনয় শুরু করে রোহান।
সৌন্দর্য এদের মজা আর নিতে পারলো না।
ওয়ে ড্রামাবাজ তোর ড্রামা অফ কর। দিশানী কি জানে তুই শা* একটা গে। না জানলে সমস্যা নেই আমি নিজ দায়িত্বে তাকে এই কথাটা জানিয়ে দিবো।
দিশানীর নাম্বার টা জানি কতো? উমমম মনে পরেছে লাস্টে 223।
সৌন্দর্যের কথায় রোহানের মুখ টা ছোট হয়ে যায়। এই ছেলেটার সাথে একটু মজা ও নিতে পারে না। কি করে যেনো সিক্রেট গুলো খুঁজে খুঁজে বের করে ফেলে।
ভাই আমিতো ওর কথা তোদের কাউকে বলিনি।তুই কি করে ওর কথা জানলি?
টপ সিক্রেট বলেই সৌন্দর্য চোখ মারে।
এবার জানা কথা সকলে রোহানের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। সৌন্দর্য টুক করে কল কেটে দিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস নেয়। তারপর তালহার দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,, তুই কি করে টিচার হলি?
এ-এটা আবার কি রকম প্রশ্ন?
কি রকম প্রশ্ন তাই না? তুই টিচার হয়ে এসব কি করে বলিস? নিজের ছাত্রী কে নিয়ে এসব কথা বলতে তোর মুখে বাঁধে না? কথাটা বলেই সৌন্দর্য তালহার উপর চড়াও হয়।
আহ্ ভাই ছাড় প্লিজ। তোর এই বডিবিল্ডার শরীর দিয়ে কি করে তুই আ'ঘাত করতে পারিস আমাকে?
অনেক কষ্টে নিজেকে সৌন্দর্য্যের হাত থেকে ছাড়ায় তালহা। তারপর নিজেের চুল ঠিক করতে করতে বলে,কোথায় তুই হাতি আর আমি মশা। নিজের দিকে তাকিয়ে তারপর আমার দিকে তাকাবি দেন মারতে আসবি। তারপর নিজের কাঁধে হাত বুলিয়ে আহ বলে রুম থেকে বের হয়ে যায়।
----------------------------------
সকাল সকাল ইয়ানূূর উঠে একটু বাইরে বের হয়। নাস্তা করেই তারা রওনা দিবে। তাই ভাবলো আশেপাশের জায়গা টা একটু চোখ বুলিয়ে দেখবে। তারউপর কাল আসার সময় রিসোর্টের গেইটের বাইরে একটা বকুল ফুল গাছ দেখেছিলো। বকুল ফুল আবার নূরের খুব পছন্দ। তাই পা টিপে টিপে বের হয়। আশেপাশে তেমন কেউই নাই। সকলে ঘুমে বিভোর। এই সময় টা নূরের খুব ভালো লাগে। কেমন জন মানবহীন থাকে। কোনো কোলাহল নেই শুধু পাখির কিচিরমিচিরের শব্দটা। ফুরফুরে মন নিয়ে রিসোর্ট থেকে বের হয়ে আসে নূর।চারদিকে একবার দৃষ্টি বুলিয়ে গাছের নিচে চলে যায়।
তেমন একটা ফুল পরেনি। তাও নূর খুশি মনে বসে কুড়াতে থাকে। নিচু স্বরে গুনগুন করে গান ধরে,,,
"বকুলের মালা শুকাবে রেখে দিবো তার সুরভি।
দিনে গিয়ে রাতে লুকাবে,মুছোনাকো আমারি,,,,,
বাকিটুকু শেষ ও করতে পারে নি নূর।উপর থেকে যেনো ফুলের বৃষ্টি এসে ওর উপর পরছে। নূর ফুল কুড়ানো বাদ দিয়ে উপরের দিকে তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে নেয়। ওর মুখের উপর ও পরছে কি সুন্দর ঘ্রাণ বের হয়েছে। হুট করে এতো ফুল পড়ার কারণ টা বুঝতে পারলো না নূর। এখন তেমন বাতাস ও নেই।
নিজের ভাবনার ব্যাঘাত ঘটে কারো গম্ভীর কন্ঠ স্বর শুনে।
" এই পিচ্চি মেয়ে এখানে একা একা কি করতে এসেছো? যদি ছেলেধরা এসে নিয়ে যায়? তারউপর আবার তুমি সাধারণ না।স্পেশাল কেয়ার ছাড়া কেন বের হয়েছো? দ্রুত নিজের রুমে যাও,ফাস্ট। "
কথাগুলো এক নিশ্বাসেই শেষ করে সৌন্দর্য। নূর আহাম্মকের মতো তাকিয়ে আছে। কিছু বলতেও পারলো না। কি করেই বা বলবে, সে তো নূরের সামনে দিয়ে জগিং সুট পরে চলে যাওয়া লোকটা তো কোনো সুযোগ ই দিলো না। তবে অপমাণ করতেও ছারলো না।
সকাল সকাল লোকটার কি এসব কথা না বললে চলছিলো না নাকি। নিচে পরে থাকা ফুলের দিকে তাকিয়ে নূরও রিসোর্টের দিকে হাঁটা দেয়। কেন যে লোকটার সাথে দেখা হয়েছে।
--------------------------------------------------
বাসে যে যার সিটে বসে আছে। আজ ইসরাত জানালার পাশের সিটে বসেছে। সেই কখন থেকে সে বকবক করে চলেছে থামার নাম নেই। নূর চুপচাপ বইয়ের দিকে একবার তো ইসরাতের দিকে একবার তাকাচ্ছে।
মেয়েটার বকবকানি তে কিছুতেই মন বসাতে পারছে না সে।
কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে বিষম লেগে যায় ইসরাতের পানির বোতল বাসের উপরে ব্যাগে নিয়েছিল।
নূর উঠে তারাতাড়ি ব্যাগটা নিচে নামায়। চেইন খুলে পানির বোতল নিয়ে ব্যাগের ভিতর কিছু একটা দেখে ব্রু কোঁচকায়। পানির বোতল নিজের হাতে নিতেই ইসরাত তরিঘরি করে পানি খায়।
নূর ব্যাগ থেকে জিনিস টা হাতে নিয়ে ইসরাতের সামনে বাড়িয়ে ধরে। ইসরাত পানির বোতল রেখে তারাতাড়ি জিনিস টা নিজের কাছে নিয়ে নেয়।
নূর একই ভাবে ইসরাতের দিকে তাকিয়ে আছে। ইসরাত নূরের দিকে তাকিয়ে হাসার চেষ্টা করে বলে,,, কি- কি হয়েছে দোস্ত? ত-তুই এমন করে তাকিয়ে আছিস কেন?
এটা কি?
কেন চিনিস না তুই? আজব এটা একটা মেচ।
সেটা আমিও জানি। কিন্তু এটা এখানে কি করছে সেটাই জিজ্ঞেস করছি। বাই এনি চান্স তুই?
এইই না না বোন ভুলেও ওসব কিছু ভাবিস না।আমি সিগারেট খাওয়ার জন্য নেই নি। আসলে হয়েছে কি আমার না খুব ভূ'ত, প্রে'তে'র ভয় লাগে দোস্ত।। তাই নিয়ে রেখেছি বিশ্বাস কর আমায় ঠোঁট উল্টে বলে ইসরাত।
ইসরাতের এসব কথা শুনে ইয়ানূর কি বলবে ভেবে পায় না। ভূ'ত প্রে'তে'র ভয়ের জন্য কিনা মেচ কিনে নিয়েছে। এটাও তাকে শুনতে হলো।
নূর নিজের সিটে বসে ইসরাতের কপালে হাত রেখে বলে,ইশু বোন আমার তোর মাথা এতোদিন অর্ধেক নষ্ট ছিলো।এখন মনে হচ্ছে পুরোই হয়ে গেছে। লোকে এসব শুনলে হাসবে।এতোদিন দেখতাম প্রেগন্যান্ট মহিলারা মেচ নিয়ে ঘুরে। কিন্তু এই প্রথম তোকে এসব করতে দেখলাম।
ইসরাত মিনমিনিয়ে বলে চুপ যা দোস্ত। কাউকে এসব বলিস না।
এর মধ্যে হুট করে বাস অফ করে।ওরা এতে মাথা ঘামায়নি। নূরের ও পানি পিপাসা পেয়েছে তাই বোতল টা হাতে নেয়।
সৌন্দর্য নিজের গাড়ি আনিয়েছিলো যাওয়ার জন্য। কিন্তু হুট করে গাড়িটা খারাপ হয়ে যায়। এতে ওর বেশ মে'জা'জ চটে আছে। তালহা কে বলে বাস থামিয়ে আবার উঠে বসে। কিন্তু সামনের সিট গুলো বুকিং। তালহা চেয়েছিলো সামনে জায়গা করে দিতে কিন্তু সৌন্দর্য জানায় তার দরকার নেই। সে পিছনেই বসবে।
বাসে উঠে পিছনে যেতে গিয়ে টে'র পায় জোতার ফিতা খুলে গেছে। বসে সেটাই লাগায়।কিন্তু হুট করে উঠতে গিয়ে থমকে যায় সে।
নূর মুখে পানি নিয়ে পাশে তাকিয়ে দেখে লোকটা নিচে বসে আছে। বাসে দেখেনি আগে। তাই হুট করে দেখে নিজে কি করে ফেলল বুঝতে ও পারে নি। নূরের মুখের সব পানি ছিটকে পাশে থাকা সৌন্দর্যের উপর গিয়ে পরে।


চলবে,,,,,,,,,



গল্প: পরাণ দিয়ে ছুঁই
#পর্ব_
লেখনীতে: ঝর্ণা ইসলাম

আসসালামু আলাইকুম। সকলে রেসপন্স করবেন।

Post a Comment

0 Comments