বাড়িতে নাস্তা না করেই অফিসে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পরলাম।বাড়িতে নাস্তা না করার অবশ্য একটা কারন আছে সেটা পরে জানতে পারবেন।গাড়ি টা নিয়ে বেরিয়ে পরলাম অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্য। অফিসের কাছাকাছি এসে পরলাম একটা মহা ঝামেলায়।রাস্তার মাঝ খানে বিরাট বড় জেম।এদিকে আজ আমার একটা গুত্বপূর্ন মিটিং আছে ১০ টা বাজে,এখন ৯ঃ৪৫ বাজে।কি আর করার কোনো উপায় নেই এখন জেমেই বসে থাকতে হবে।
জেমে বসে রেডিও তে গান শুনছি তখনি আমার চোখ টা ফুটপাতে বসা একটা মেয়ের ওপর পরলো।মেয়েটি কালো বরকা পরা সাথে হাত মজা পা মজা ও পরা।দেখে মনে হচ্ছে কোনো ভালো মুসলিম পরিবারেরই মেয়ে হবে হবে। কিন্তু এ সময় ফুটপাতে বসে আছে কেনো।মনে মধ্যে একটা অন্য রকম চিন্তা অনুভব করলাম।এরি মধ্যে জেম টা ছুটে গেলো।আমি ও মেয়ে টাকে নিয়ে ভাবনা বন্ধ করে গাড়ি চালিয়ে অফিসে চলে এলাম।
অফিসে মিটিং টা শেষ করে নাস্তা করে নিলাম।কেবিনে বসে হাতের কিছু কাজ ছিলো সেগুলো করছিলাম তখনি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড সিহাব কেবিনে ঢুকলো।সিহাব আমার স্কুল ফ্রেন্ড।পড়া লেখা শেষ করার পর কোনো চাকরি পাচ্ছিলো না বলে আমার অফিসেই জব করছে।
সিহাবঃ কিরে ভাই তুই কখন এলি।প্রতি দিন তো অফিসে এসেই আমার সাথে প্রথমে দেখা করিস।আজ এমন কি হলো যে আমার সাথে দেখা ও করলি না।
জিব্বায় কামড় দিলাম।আসলেই তো আজ সিহাবের সাথে দেখা করার কথা টা ভুলেই গেছি।সেই ফুটপাতে মেয়ে টা কে দেখার পরই যে কি হলো তখন থেকে সুধু মেয়েটার কথাই মাথায় ঘুরছে।এখন সিহাব কে কি বলি।
আমিঃ আসলে দোস্ত বাড়ি থেকে আসার সময় রাস্তায় এতো জেম ছিলো যে গাড়িতে বসে থাকতে থাকতে খুব টায়ার্ড হয়ে গেছি।তারওপর অফিসে এসেই একটা মিটিংয়ে জয়েন্ট করতে হলো।তাই ভেবেছিলাম কেবিনে বসে কিছুখন রেস্ট নিয়ে তারপর তর সাথে দেখা করতে যাবো।
সিহাবঃ ও আচ্ছা সেটা বল,আমি আরো ভাবছিলাম তর আবার কিছু হলো নাকি।আচ্ছা এসব বাদ দিলাম এখন তুই কাজ কর আমি গেলাম আমার কেবিনে,আমারো অনেক কাজ পরে আছে।
আমি ঃ ঠিক আছে যা।সিহাব চলে গেলো।আমি আমার কাজে মন দিলাম।কিন্তু কেনো যেনো কোনো কাজেই আমি মন বসাতে পারছি না।কাজ করতে নিলেই ফুটপাতে থাকা মেয়েটার কথা মনে পরছে।বার বার মনে হচ্ছে মেয়েটা হয়তো কোনো বিপদে পরে রাস্তার কিনারায় বসে ছিলো।
যাক মেয়েটার কথা বাদ দিয়ে কাজে মন দেওয়ার চেষ্টা করি।
রাত ১০ টা বাজে কিন্তু এখনো আমার কাজ কিছু টা বাকি আছে।তাই সিহাব কে বলে দিলাম দোস্ত তুই বাড়ি চলে যা আমি একটু পর অফিস থেকে বেরুবো।
কাজ শেষ করতে রাত ১১ টার মতো বেজে গেলো।এর মধ্যে মা কয়েক বার ফোন করে বাড়ি আসতে বলেছে। তাই আর দেরি না করে অফিস থেকে বেরিয়ে পরলাম।অফিস থেকে বেরিয়ে সকালে যেই রাস্তা দিয়ে এসেছি সে রাস্তা দিয়েই কিছু দূর এগুতেই আমি অনেক টা অবাক হলাম।সকাল বেলা যে মেয়ে টাকে দেখেছিলাম ফুটপাতে বসে থাকতে সে মেয়েটা এখনো একি জায়গায় বসে আছে।বুঝতে আর বাকি রইলো না যে মেয়ে টা নিশ্চয়ই কোনো বিপদে পরছে।পরক্ষনেই আবার মনে হলো মেয়েটা আবার কোনো চোর নয়তো,নাহলে এতো রাতে এখানে কি করছে।ছিছি আমি এসব কি ভাবছি মেয়েটা যদি চোরই হতো তাহলে সকাল থেকে এখানে কখনই বসে থাকতো না।
আর সাত - পাচঁ না ভেবে গাড়ি থেকে নেমে মেয়েটার কাছে চলে গেলাম।মেয়েটা আমাকে ওর কাছে আসতে দেখে কিছু টা গুটি শুটি মেয়ে সরে বসলো। হয়তো আমাকে ভয় পাচ্ছে তাই।আমি মেয়েটার সামনে গিয়ে দাড়িয়ে বললাম।
আমিঃ আপনি কি কোনো সমস্যায় পরেছেন?
মেয়েটা কোনো কথা বলল না সুধু মাথা নাড়িয়ে না বলল।
আমিঃ আমি জানি আপনি মিথ্যা বলছেন।কারন এতো রাতে একটা মেয়ে কোনো বিপদে না পরলে এরকম নির্জোন রাস্তায় একা বসে থাকবে না।আপনি হয়তো আমায় খারাপ লোক ভাবছেন তাই সত্যি টা বলতে চাইছেন না।তবে আমি কিন্তু খারাপ লোক নই, ঢাকার ভালো একজন বিজনেসম্যান।এই দেখুন আমার কার্ড,কার্ড টা দেখলেই বুঝতে পারবেন।বিজি ডিং কার্ড মেয়ে টার দিকে এগিয়ে দিয়ে।মেয়ে টা আমার হাত থেকে কার্ড টা নিলো।তার কিছু খন পরে আবার কার্ড টা ফেরত ও দিয়ে দিলো।
আমিঃ এবার বিশ্বাস হয়েছে তো আমি কোনো খারাপ মানুষ নই।
মেয়ে টা মাথা নাড়িয়ে হে বলল।
আমিঃ তাহলে এখন সত্যি টা বলুন আপনি কি কোনো বিপদে পরেছেন?
মেয়েটিঃ হ্যা।আমি ঢাকায় নতুন এসেছি। রাস্তা ঘাট কিছু চিনি না।
আমিঃ( এই প্রথম মেয়েটির গলার আওয়াজ শুনলাম, মেয়েটার গলার আওয়াজ খুবি মিস্টি।তবে চেহারা টা এখনো দেখিনি।)ও আচ্ছা, আপনার কি ঢাকা শহরে বাবা- মা বা কোনো আত্মিয় ও নেই।মানে যে আপনাকে এখানে নিয়ে এসেছে।
মেয়েটিঃ আমার বাবা-মা অনেক আগেই মারা গেছেন।আর ঢাকায় আমার চেনা জানা বলতে ও কেউ নেই।
আমিঃ তারমানে আপনি একাই ঢাকায় এসে,,,,আর কিছু বলতে যাবো তখনি মা আবার ফোন করলেন।ফোন টা রিসিভ করলাম।
হ্যালো মা
মাঃ তুই কোথায় এখনো যে বাসায় এলি না।জানিস আমি কখন থেকে তর জন্য অপেক্ষা করছি।
আমিঃ এই তো মা আমি এখনি আসতেছি গাড়িতে আছি।
মাঃ ঠিক আছে তারাতারি বাড়িতে আয়.।( বলেই ফোন টা রেখে দিলাম)
আমিঃ ফোন টা রেখে দিলাম।
আমিঃ বুঝলাম আপনার ঢাকায় আত্মিয় স্বজন বলতে কেউ নেই।তাহলে আজ রাতে আপনি থাকবেন কোথায়।
মেয়েটিঃ জানি না।হয়তো এই রাস্তার মধ্যেই।
আমিঃ ( মূহুর্তেই মেয়েটার গলার আওয়াজ পালটে গেলো।বুঝতে পারলাম মেয়েটি মুখ চেপে কান্না করছে।মেয়েটার এরকম অবস্থা দেখে খুবি মায়া হলো।তাই মেয়েটাকে বললাম)আপনি চাইলে আজ রাত টা আমাদের ঐখানে থাকতে পারেন।যদি আপনার কোনো অসুবিধা না থাকে।
মেয়েটিঃ তার কোনো ধরকার নেই আমি এখানেই থাকতে পারবো।
আমিঃ মনে হচ্ছে আপনি এখনো আমায় বিশ্বাস করে উঠতে পারেন নি।সত্যি বলছি আমি কোনো খারাপ মানুষ না।তাছাড়া রাস্তার চারপাশ টা একটু তাকিয়ে দেখুন কতো বখাতে ছেলে বসে আছে।এতো রাতে আপনি এখানে থাকলে খারাপ কিছু একটা হয়ে যেতে পারে।তাই বলছি আমাকে একটু বিশ্বাস করুন আর আমার সাথে চলুন।এটা অন্তত বলতে পারি আমি মেয়েদের কিভাবে সম্মান করতে হয় তা খুব ভালো করেই জানি।এখন পুরো টা আপনার ইচ্ছা আপনি আমার সাথে জাবেন কি জাবেন না।
মেয়েটিঃ রাস্তার চারি পাশে তাকিয়ে সত্যিই খুব ভয় পেলাম বখাতে কয়েক টা ছেলেকে দেখে।এতো রাতে এদের সামনে থাকাটা নিরাপদ না।আর উনাকে দেখে ও কোনো খারাপ মানুষ মনে হচ্ছে না।তাই কোনো উপায় না পেয়ে হে বলে দিলাম।
আমিঃ ধন্যবাদ। আমার সাথে আসুন।
মেয়ে টা কে নিয়ে সেখান থেকে চলে এলাম বাড়িতে।বাড়িতে এসে কলিং বেল বাজাতেই মা দরজা টা খুলে দিলেন।
মা আমার সাথে মেয়ে টাকে দেখে বলে উঠলেন।
মাঃ মেয়ে টা কে রে।
মাকে মেয়েটার থেকে একটু দূরে নিয়ে গেলাম।তারপর মা কে সব কিছু খুলে বললাম।
আমিঃ মনে হয় মা মেয়ে টা অনেক বড় বিপদে পরেছে।নাহলে সকাল থেকে এতো রাত পর্যন্ত রাস্তায় কেউ বসে থাকে না।তাছাড়া মেয়ে টা কে দেখে ও মনে হচ্ছে ভালো পরিবারেরই হবো।
মাঃ হুম আমি ও তাই ভাবছি মেয়েটা হয়তো কোনো বিপদে পরেছে।ঠিক আছে তুই ফ্রেস হয়ে ডিনার টা করে নে আমি মেয়ে টাকে দেখছি।
আমিঃ ওকে মা,আর শোনো মেয়ে টা হয়তো সকাল থেকে কিছু খায়নি উনাকে কিছু খাইয়ে দিয়ো।
মেয়েটার কাছে চলে গেলাম আমি আর মা।
আমিঃ উনি হচ্ছেন আমার মা।( মায়ের দিকে তাকিয়ে মেয়েটাকে বললাম)
মেয়েটিঃ আসসালামুয়ালাইকুম আন্টি।
মাঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম।
আমিঃ তাহলে মা তোমারা কথা বলো আমি রুমে গেলাম।
মাঃ ঠিক আছে যা।
আমিঃআরেক টা কথা রিমি আর রায়হানন কে তো কোথাও দেখতে পাচ্ছি না। ওরা দুজন কি ঘুমিয়ে পরেছে।
মাঃ অনেক খন আগেই ওরা ঘুমিয়ে গেছে।
আমিঃ ও আচ্ছা, তাহলে মা আমি রুমে গেলাম।মা কে বলে সেখান থেকে রুমে চলে এলাম।
রুমে এসে ফ্রেস হয়ে ডিনার টা করে নিলাম। ডিনার করার সময় ঐ মেয়েটা কে একবার ও দেখলাম না।হয়তো ডিনার করে উনার রুমে চলে গেছে।মার কাছ থেকে শুনলাম মা নাকি মেয়ে টা কে আমার রুমের পাশে একটা রুম আছে সেখানে থাকতে বলেছে। মা আরো বলল মেয়ে টা কে নাকি মা আরো কিছু দিন এখানে থাকতে বলেছে যত দিন না মেয়ে টার কোনো আত্মীয় স্বজনের খোজ না পাওয়া যায়।
ডিনার করে রুমে চলে এলাম। আর হে এতো ঝামেলার মধ্যে আপনাদের তো আমার পরিচয় টাই দেওয়া হয়নি। আমি মোঃ রিয়াদ চৌধুরী। আমার পরিবারের লোক বলতে আমি, মা,ছোট বোন রিমি আর রিমির ছেলে রায়হান আমরা চার জন।বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন।বাবা মারা যাওয়ার পর আমিই বাবার ব্যবসা দেখা শোনা করি।আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে অনেক ঘুম পেয়ে গেছে।তাই ঘুমিয়ে পরি বাকি কথা পরে আসতে আসতে জানতে পারবেন।
ঘুমাবো বলে যেই চোখ বন্ধ করতে যাবো তখনি মোবাইলের রিংটোনের আওয়াজ টা কানে ভেসে এলো।মোবাইল টা হাতে নিয়ে দেখলাম আমার গার্ল ফ্রেন্ড রিয়া ফোন দিয়েছে।কলেজ লাইফ থেকেই রিয়ার সাথে আমার রিলেশন টা চলছে।রিয়া বর্তমানে মিডিয়াতে মডেলিংয়ের কাজ করছে।যেটা আমার মা একদমি পছন্দ করেন না।ফোন টা রিসিভ করলাম।
রিয়াদঃ হ্যালো।
রিয়াঃ হ্যালো তুমি এখন কোথায়?
রিয়াদঃ আমি তো এখন বাড়িতে নিজের বিছানায় ঘুমানোর চেষ্টা করছি কেনো কিছু হয়েছে?( রিয়ার গলা শুনে মনে হচ্ছে ও খুব রেগে আছে।কিন্তু কেনো রেগে আছে সেটা বুঝতে পারলাম না)
রিয়াঃ ও আচ্ছা মহা রাজ এখন ঘুমানোর চেষ্টা করছেন।আজ যে আপনার আমার সাথে দেখা করার কথা ছিলো।আপনি কি সেটা ভুলে গেছেন।( এবার কথা টা খুব জোরেই বললাম
)
রিয়াদঃ আসলে রিয়া আজ অফিসে এতো কাজের চাপ ছিলো যে তোমার সাথে দেখা করার কথা মনে ছিলো।তবু ও আসতে পারিনি।( মিথ্যা বললাম,আজ সত্যি রিয়ার কথা আমি ভুলেই গিয়েছিলাম ঐ মেয়েটার কথা চিনতা করতে করতে।
)
আমরা কাল দেখা করি রিয়া।প্লিজ রাগ করো না।
রিয়াঃ না রাগ করবো না খুশি হবো।ঠিক আছে কাল তুমি আগে আসো তারপর দেইখো তোমার কি অবস্থা করি

( ফোন টা রেখে দিলাম)
রিয়াদঃ আমি ও ফোন টা রেখে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পরলাম।কারন আমি জানি রিয়া আমার ওপর যতই রেগে থাকুক না কেনো কিছু একটা গিফট নিয়ে গেলেই ও শান্ত হয়ে যাবে।

সকালে কিছু একটার শব্দে ঘুম টা ভেঙে গেলো।ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখিলাম সকাল ৫ টা বাজে।এতো সকালে আমি কোনো দিন ঘুম থেকে উঠেছি বলে মনে পরছে না।কিন্তু আজ কি করে উঠে গেলাম বুঝতে পারছি না।কিছু একটার শব্দে ঘুমটা ভেঙ্গেছে এটা সিওর কিন্তু এতো সকালে তো আমাদের বাড়ির কারো ঘুম থেকে উঠার কথা না।
হয়তো কিছু একটা বাতাসে পরে গেছে সেটারই শব্দ পেয়েছি।এটা ভেবে শুয়ে পরতে যাবো তখন আবার একটা শব্দ পেলাম আমার পাশের রুম থেকে।এবার স্পষ্ট শুনতে পেলাম কেউ কিছু একটা বলছে আমার পাশের রুম থেকে।তারমানে কি কাল যে মেয়ে টাকে বাড়িতে এনেছিলাম উনিই শব্দ করছেন।
কিছু না ভাবে রুম থেকে বেরিয়ে মেয়েটার রুমের দিকে গেলাম।দরজা টা আটকানো ছিলো না তাই একটু ধাক্কা দিতেই দরজা অনেক টা খুলে গেলো।দরজা খুলে যাওয়াতে দেখলাম মেয়ে টা কোরআন তেলওয়াত করছেন।সচরাচর আমি কুরআন তেলওয়াত তেমন একটা শুনি না।তবে আজ যে কি হলো মেয়েটার গলায় কুরআন তেলওয়াত শুনতে খুবি ভালো লাগছে।মাথায় ইয়া বড় ঘোমটা দেওয়ার কারনে মুখটা দেখা যাচ্ছে না তবে মেয়েটার হাত দেখে যতটুকু বুঝলাম মেয়েটা দেখতে খুবি সুন্দর হবে।
মেয়েটার এতো সুন্দর হাত দেখে ওর মুখ টা দেখার আগ্রহ হাজার গুন বেরে গেলো।যে মেয়ের হাত এতো সুন্দর তার মুখ দেখতে কেমন হবে এটা ভাবছি আর দরজার বাহির থেকেই ওর মুখ টা দেখার চেষ্টা করছি।কিন্তু অনেক চেষ্টার পরে ও মেয়েটার মুখ দেখতে পেলাম না।
আমি ও হার মানার মানুষ নই তাই আবার মেয়েটার মুখ দেখার চেষ্টা করতে লাগলাম।পরক্ষনেই মনে হলো ছি ছি আমি এটা কি করছি কারো অনুমতি ছাড়া তার মুখ দেখা যে পাপ।তাছাড়া আমার তো গার্ল ফ্রেন্ড আছে।ওকে ছেড়ে আমি কিভাবে অন্য আরেক টা মেয়ের চেহারা দেখার কথা ভাবতে পারি।তাতে মেয়ে টা যত সুন্দরী হক না কেনো।

চলবে।।।।।।
গল্প: অবহেলা
লেখনীতে: জেসমিন আক্তার নেহা
পর্বঃ ১
.jpg)
0 Comments