সকালে মা বাবাকে বলল," ঘটনা শুনছ?"
আমি আড় চোখে মায়ের দিকে একটু তাকালাম। আমি কিছু করেছি বলে মনে হচ্ছে না! নিচের দিকে তাকিয়ে রুটি খাচ্ছি।
বাবা একটু অবাক হয়ে বলল, "কেন!"
"কেন আবার! আমাদের রুমকির সাথে সম্পর্ক আছে ছেলেটার!"
রুমকি আমাদের রহিত আংকেলের মেয়ে। দেখতে অসম্ভব সুন্দরী! আংকেল আর আমার বাবা খুব ভালো বন্ধু। ওদের বাসায় আমি মাঝে মাঝে যাই। রহিত আংকলের অনেক ক্ষমতা!
বাবা বলল," নোমান ছেলেটা তো বেশ ভদ্র! লেখা পড়াও তো ভালো!"
মা একটু মুখ বাকিয়ে বলল," ভালো না ছাই! বোঝলা না মিচকা শয়তান একটা! উপরে উপরে ভালো তলে তলে কী সব করে বেড়ায়!"
বাবা কিছু না বলে উঠে গেল।
খবরটা শুনে ভালোই লাগছে! এই নোমান ছেলেটার জন্য একটুও শান্তিতে ছিলাম না! মা সারাক্ষণ ওর সাথে তুলনা করত!
"নোমান কে দেখ! কী ভালো রেজাল্ট করেছে! নোমান এই করে! নোমান সেই করে!"
নোমান রুমকির সাথে প্রেম করে এটা তো জানতাম না!
নাস্তা শেষ করে বের হলাম। রুমকিদের বাসা থেকে একটু ঘুরে আসি। খবরটা ভালো করে জানতে হবে।
আজ মা আর কিছু বলল না!
রুমকিদের বাসায় ঢুকার সময় রহিত আংকেলের সাথে দেখা হলো। সুন্দর করে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, "কেমন আছেন আংকেল?"
আংকেল জবাব দিলো না!
আমার দিকে তাকিয়ে বলল,"বাবু এসেছ ভালোই হয়েছে! রুমকিকে একটু বোঝাও তো বাবা!"
"আপনি চিন্তা করবেন না আংকেল আমি রুমকি কে বুঝিয়ে বলব।"
আমি রুমকিদের বাসায় চলে আসলাম। রুমকি ওর ঘরে বসে আছে। আমাকে দেখে একটু হাসল!
"কী হয়েছে? "
"আর বলো না! ওই নোমানটা গতকাল রাতে আমাদেরকে ছাঁদে দেখে ফেলেছিল!"
"বলো কী!"
"হ্যাঁ, আমাদের কাজের মেয়েটা বলেছে আমাকে!"
"তারপর!"
"তোমার বু্দ্ধিমত একটা প্রেমপত্র লিখে দিলাম বেটাকে ফাঁসিয়ে!"
"ভালোই কাজ হয়েছে বুদ্ধিটা!"
মজার মজার গল্প পেতে চাইলে এই আইডিতে ফলো করে রাখুন।
গল্প: প্রেমপত্র ও ছাঁদ

0 Comments