Header Ads Widget

Responsive Advertisement

অবহেলিত স্বামী - পর্ব ৪

 আর বারবার মনে হচ্ছিলো ও এটা কি ঠিক করছে কিনা। তারপর একটা সময় নিজেকে অনেক কষ্টে কন্ট্রোল করে চোখ বুঝে শুয়ে রইলো। একটু পর ওরা ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন সকালবেলা আজমাইন আরিজা আগেই ঘুম ভেঙ্গে যায়, ঘুম ভাঙ্গতেই ও খেয়াল করে কেউ ওকে আষ্ঠে পৃষ্ঠে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে রেখেছে। আজমাইন চোখ খুলতেই যেটা দেখতে পায় সেটা দেখার জন্য মোটেও প্রস্তু ছিলো না। ও যেনো আকাশ থেকে পড়লো। আরিজা ওকে শক্ত করে বুকের সাথে চেপে ধরে রেখেছে। আজমাইন এবার বেশ ভয় পেয়ে যায় আর ভাবে।



আজমাইন - আল্লাহ কালকে রাতে হয়তো ভুলে বিছানায় চলে আসছে। রাত্রে কেমন যেনো শরীরটা খারাপ লাগছিলো তাই হয়তো ভুলে এমনটা করে ফেলছি।
- আজমাইন আরিজা ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে ওর ঘুম ভেঙ্গে যায়। আজমাইন নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে দেখে আরিজা বুকের ওপর থেকে ক আঁচলটা সরে গেছে তখন আরিজা বলতে শুরু করে।
আজমাইন - সরি সরি আমি বুঝতে পারিনি, কালকে হয়তো আমি রাতে ভুল করে বিছানায় চলে আসছিলাম। তুমি আমাকে মাফ করে দিও, আর আমাদের মাঝে হয়তো কিছু হয়ে গেছে তার জন্য তোমার কাছে মাফ চাইছি। প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও।

আরিজা বুঝতে পারলো আজমাইন হয়তো বেশ ভয় পেয়ে গেছে, যেখানে বলেছিলো ওকে স্বামী হিসেবে মানেনা, সেখানে আজমাইন মনে করছে ও ভুল করে বিছানায় এসে পড়েছে। আরিজা না চাইতেও আজমাইন এরকম ভয়ার্ত চেহারা দেখে একটা মুচকি হাসি দিলো তখন ও বলতে লাগলো।
আজমাইন- একি তুমি হাসছো কেনো ? প্লিজ তুমি কিছু মনে করো না। আর দশটা বাজে ছেলের মতো আমাকে মনে করো না। আমি ভুল করে হয়তো চলে আসছি। তার জন্য মাফ চাইছি।
আরিজা - আপনি এতো ভয় পাচ্ছেন কেনো ? আপনি বিছানায় আসেননি আমিই আপনাকে এনেছি। ভুল করে

আজমাইন - মানে আমাদের মধ্যে কিছু হয়ে গেছে তাইতো, এটা তুমি কেনো করলে ? আমাকে শুধু শুধু বিছানায় এনেছো কেনো যেখানে তুমি আমাকে স্বামী হিসেবেই মানোন না। এখন কিন্তু তুমি আমাকে দোষ দিতে পারবেন না। যে আমার সাথে তোমার কিছু হয়ে গেছে।
আজমাইন - আরে আপনি শান্ত হন আমার কথা শুনেন। কালকে রাত্রে আপনার অনেক জ্বর এসেছিলো তার উপায় না পেয়ে আমি আপনাকে বিছানায় এনেছি। আর আপনার জ্বরটা কমছিলো না, তাই আমি আপনার পাশে শুয়েছি আর তখন।

- আরিজা কথাটা বলেই থেমে গেলো আর আজমাইন বলতে লাগলো।
আজমাইন - আর তারপর আমাদের মাঝে কিছু হয়েছে তাইতো। আমি এইজন্য বিছানায় শুয়ে চাইনি তারপরও তুমি এই কেনো করতে গেলে। শুধু শুধু আমাদের মাঝে এরকম একটা ঘটনা ঘটে গেলো বলোতো। তো এখন কি হবে তুমি যদি কনসিভ করে ফেলো।

আজমাইন কথায় আরিজা বেশ অবাক হয়ে গেলো। ও বুঝতে পারছে আজমাইন বেশ ভয় পাচ্ছে। কারন ও এই কয়েকটা দিনে ভেবেছে, আরিজা আজ হলেও ওর কাছে থাকবে না কাল হলেও থাকবে না। কয়েকটা দিন হয়তো ওর আব্বু আম্মুর এরকম কথা রাখতে আছে। • কিন্তু একটা সময় ওর ভালোবাসার মানুষটা যদি ওকে ফিরিয়ে নিতে চাই কিংবা তার রাগ অভিমানগুলো কেটে যায় তখন আরিজা ওর জীবন থেকে চলে যাবে।
আরিজা - চুপ একদম চুপ, নিজে নিজেই বকবক করে যাচ্ছে। - আমাদের মাঝে কিছুই হয়নি আর হলেই বা কি আপনি তো আমার স্বামী।

আরিজা কথায় আজমাইন একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিলো আর বললো।
আজমাইন - স্বামী, কিসের স্বামী, তুমিতো আমাকে স্বামী হিসেবে মানোনা। তাহলে এসব মিথ্যে কথা বলে শুধু শুধু আমার মন রক্ষা করছো কেনো?

- আজমাইন কথাটা বলেই আরিজা মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো আর ও মাথা নিচু করে রাখলো। কালকে রাত্রে আরিজা ওর বিবেকের কথা গুলো বারবার ভাবছিলো। এবার আজমাইন বিছানা ছেড়ে উঠতে গেলে তখনই আরিজা ওর হাতটা ধরে ফেলে, আজমাইন ওর দিকে তাকাতেই • আরিজা ওর কপালে গালে হাত দিয়ে দেখে বললো।

আরিজা - জ্বরতো অনেকটাই কমে গেছে।
- এবার আজমাইন আরিজার হাতটা ধরে ফেললো আর বললো।
আজমাইন - এসব করার কি দরকার ছিলো শুধু শুধু মায়া বাড়াচ্ছো,দুদিন পরতো চলেই যাবে।
- আজমাইন আরিজা হাতটা ছেড়ে দিয়ে ওয়াশ রুমে চলে গেলো, ও আরিজা বলা কথাটা ভাবতে লাগলো। আবার পরক্ষনেই মনে পরলো ও রাফিনকে ভালোবাসে। তো আবার কালকে রাত্রের কথা মনে পড়তেই ভাবতে লাগলো।

আরিজা রাফিন কি সত্যিই আমাকে ছেড়ে ভালো আছে নাকি আমার মত কষ্ট পাচ্ছে। সেটাতো আমি একবারও জানার চেষ্টা করলাম না। আমাকে এই বিষয়টা জানাতে হবে।
একটু পর আজমাইন ফ্রেশ হয়ে এসে খাওয়া দাওয়া করে যখনই অফিসের উদ্দেশ্যে বের হতে যাবে তখন আরিজা ওর সামনে এসে পাড়ায় আর বলেন । বলে।
আরিজা - আপনি কি সবসময় নিজের জেদের উপরে অটল থাকবেন। কেনো এরকম পাগলামি করছেন। কালকে রাত্রে আপনার এতটা জ্বর হলো আর আজকেই অফিসে যাওয়ার জন্য পাগলামি করছেন।
আজমাইন - অফিসে যাবো নাতো কি করবো। আমার তো আর বউ নেই যে বাসায় বসে তার সাথে প্রেমালাপ করবো।

- আজমাইন আরিজা পাশ কাটিয়ে চলে যেতে গেলে আরিজা ওর হাত ধরে ফেলে আর বলে।
আরিজা- তাহলে আমি কে।
আজমাইন - তুমি আমাদের বাসার অতিথি। দেখো আর যাই - বলো,নিজেকে অন্তত বউ দাবী করার চেষ্টা করোনা। সেটা বললে আমার খুব খারাপ লাগবে। তাই এসব বলার দরকার নেই।
আজমাইন হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে যখনই রুম থেকে বের হবে তখনিই আম্মু এসে সামনে দাঁড়ায় আর বলতে শুরু করে।

আম্মু - আব্বু তোমার নাকি রাত্রে অনেক জ্বর আসছিলো বৌমা বললো। আর তুমি এভাবে কোথায় যাচ্ছো।
আরিজা - আম্মু দেখোনা তোমার ছেলেটাকে কতবার বললাম যে,কালকে রাত্রে এতো শরীর খারাপ করলো আর আজকে অফিসে যাওয়ার দরকার নেই। কিন্তু তোমার ছেলে কি আমার কোনো কথা শুনে। প্লিজ ওকে একটু বোঝাও না। এই অবস্থায় অফিসে গিয়ে শরীরটা আরো খারাপ করবে।
আরিজা কথাই আজমাইন ওর দিকে তাকিয়ে একটু অবাক হয়ে গেলো, আর বোঝার চেষ্টা করলো। এটা কি আরিজা নাকি অন্য কেউ। আবার পরক্ষনেই মনে হলো।

আজমাইন - আম্মুতো এখন সামনে আছে, তাই হয়তো নাটকটা চালিয়ে যাচ্ছে।
আজমাইন একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিলো, এবার আম্মু বেশ কড়া গলায় বললো।
আম্মু - আব্বু এটা কোনো ধরনের পাগলামি। বৌমা বারনা করেছে তার মানে তুমি অফিসে যাবে না ব্যাস। আর একটা কথা আমি শুনতে চাইনা।

আজমাইন বুঝতে পারলো এরা আর ওকে অফিসে যেতে দেবে না, তাই ও আর কোনো কথা না বলে অফিসের ব্যাগটা রেখে তারপর অফিসে ফোন দিয়ে অসুস্থতার কথা বললে। বস দু একদিনের ছুটি দিয়ে দিলো। জ্বল হবার পর থেকে আজমাইন খেয়াল করলো আরিজা ওর প্রতি একটু কেয়ারিং দেখাচ্ছে। যেটা আজমাইন বেশ ভালোই লাগছিলো আবার পরক্ষণেই ভাবছিলো।

আজমাইন - এই কেয়ারিংটা বেশি দিনের জন্য নয়। অসুস্থ তাই হয়তো দয়া দেখচ্ছে।
দিনটা আরিজা এমন কেয়ারিংয়ের মধ্যে দিয়ে কেটে গেলো। তো রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে এসে আজমাইন যখনি নিচে শুতে যাবে তখনি আরিজা ওর সামনে এসে দাঁড়ায়।
আজমাইন - একি সামনে এসে দাড়ালে কেনো ? খারাপ লাগছে আমি বেশিক্ষণ দাড়িয়ে থাকতে পারবো না, এখনো জ্বর আছে।

আরিজা - জ্বর আছে তাহলে পাগলামি করে কোথায় যাচ্ছেন। এখনই বিছানায় আসুন নাহলে কিন্তু আম্মুকে ডাকবো।
আজমাইন - কি শুরু করেছো বলোতো, বিছানায় যাবো কেনো ?
আরিজা - বিছানায় মানুষ কেনো আসবেন আবার শুতে আপনিও সেটাই করবেন।

আজমাইন - তাহলে তুমি কোথায় থাকবে। তুমি আমার মত কষ্ট করে থাকতে পারবে না। আমি জানি তুমি তোমার আব্বু আম্মু খুব আদরে, তাই কষ্টটা তোমার জন্য নয়। তুমিই বিছানায় শুয়ে পড়ো আর আমার সামনে থেকে সরো।

আরিজা - আমি বলছি আমি ফ্লোরে থাকবো। আপনি আমার পাশে থাকবেন, আর আমি আপনার পাশে।

আজমাইন- কি পাগলামি শুরু করলে বলোতো। যেখানে এসবের কোনো মানেই হয় না, আমাকে স্বামী হিসেবেই মানো না, সেখানে তোমার পাশে কেনো থাকবো। যদি ভুল করে কিছু করে ফেলি তখন তো দোষ দিবে আমাকে। তোমার কাছে তখন আমি হবো দুশ্চরিত্র লম্পট। তাই এসব নাটক করতে পারবো না প্লিজ।
- আজমাইন কথায় আরিজা মাথা নিচু করে রইলো তখনই ও যেতে গেলে আরিজা ওর একটা হাত ধরে ফেলে তখন ও বলে।

আরিজা- বারবার এসব কথা কেনো বলছেন, আপনাকে বলছি না বিছানায় আসতে। আপনি আসবেন না, নাকি আমি আম্মুকে ডাকবো।

আরিজা কথাটা বলেই আজমাইন হাত ধরে টেনে তারপর বিছানায় নিয়ে গিয়ে বসিয়ে দিলো।
আজমাইন - কি মুশকিল এরকম পাগলামি কেনো করছো। সেইতো জ্বর সেরে গেলে আবার নিচে শুতে হবে তার থেকে নিচেই শুই। একদিন জন্য পিঠের সুখ করতে করতে চায় না।
আরিজা - আমি আপনাকে একবারও বলছি নিচে থাকতে হবে। আপনি এখন থেকে বিছানায় থাকবেন।
আজমাইন - যদি আমাদের মাঝে কিছু হয়ে যায়৷

আরিজা - হলে হোক, বারবার শুধু এক কথা বলে এখন চুপচাপ ঘুমান।
আজমাইন আরিজা মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো আর বোঝার চেষ্টা করলো এটা কি আরিজা নাকি অন্য কেউ। আজমাইন বসে আছে তাই আরিজা ওকে জোর করে ধরে শুইয়ে দিলো।

আজমাইন - কি মুশকিল কি পাগলামি করছো বলোতো।
আরিজা - পাগলামি আমি না আপনি করছেন। আপনাকে শুতে বলেছি আপনি শোবেন।

আজমাইন আর কথা না বাড়িয়ে শুয়ে পড়লো, তারপর অনেকক্ষণ যাবৎ ঘুমানোর চেষ্টা করলো, কিন্তু ঘুম আসছে না। আজমাইন একদিকে ফিরে শুয়ে আছে আর আরিজা একদিকে ফিরে শুয়ে আছে। আজমাইন খুব করে জানতে ইচ্ছা হচ্ছে আরিজা ওর পুরোনো প্রেমিকের কাছে ফিরে যেতে চাই কিনা, তাই প্রশ্নটা করেই ফেললো।

আজমাইন - আচ্ছা রাফিন যদি তোমাকে ফিরিয়ে নিতে চাই তাহলে ফিরে যাবে না ওর কাছে।
- আজমাইন কথায় আরিজা উঠে বসলো আর ওর দিকে বেশ রাগী দৃষ্টিতে তাকালো। আজমাইন ওর চোখের ভাষা বুঝতে পারলো না তাই বললো।

আজমাইন - ভুল কিছু বললাম। রাফিনতো তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে আর তুমিও ওকে ভালোবাসো। আমি যদি তোমার আব্বু আম্মুকে বোঝাতে পারি তাহলে ওর কাছে ফিরে যাবেতো বলো।
আরিজা - আপনি কী ঘুমাবেন, নাকি আমাকে অন্য ব্যবস্থা করতে হবে।

আজমাইন- ওকে, ওকে বুঝতে পারছি তোমার পার্সোনাল বিষয়ে আমার কথা বলাটা ঠিক হয়নি।
আজমাইন আবারো শুয়ে পড়লে আরিজাও শুয়ে পড়ে আর ওর বলা কথাটা ভাবতে লাগলো। আরিজা বারবার মনে হচ্ছিলো রাফিন যদি ওকে ফিরিয়ে নিতে চায় আর যদি আজমাইন ওর আব্বু আম্মুকে সত্যি বোঝায় তাহলে আরিজা রাফিনের কাছে ফিরে যাবে। দুই তিন দিন পর আজমাইন জ্বর কমে গেলে ও আবার অফিসে যাওয়া শুরু করে। এর মাঝে একটা মাস কেটে গেছে এখন আজমাইন খেয়াল করে আরিজার মনটা আগের থেকে অনেক বেশী খারাপ থাকে। আজমাইন বা কি করবে ওতো বলেছিলো আরিজাকে চলে যেতে তাহলে ও নিজেই আরিজাকে হেল্প করবে, কিন্তু ও যেতে চাইনি। আজমাইন একটা মানুষের কষ্টের কারণ। আরিজা সারা জীবন এভাবে ওর থেকে দূরে থাকবে।

না হবে ওদের মধ্যে কোনো ভালোবাসা, না হবে স্বামী স্ত্রীর কোনো সম্পর্ক। যেটা আব্বু আম্মু জানতে পারলে অনেক কষ্ট পাবে। তাই আজমাইন ভাবে এই সম্পর্কটা এভাবে থাকতে পারেনা। আজমাইন মাঝেমধ্যে এখন ভাবে এই সম্পর্ক নামক অদ্ভুত জিনিসটার পরিসমাপ্তি হওয়া দরকার। এভাবে কোনো সম্পর্ক অসমাপ্ত থাকতে পারে না। তাই ও বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছে এই বিষয়টা নিয়ে আরিজার সাথে কথা বলবে, কিন্তু আবার ভাবে ওর সাথে কথা বললে হয়তো ও আব্বু আম্মুর দোহায় দিবে। তাই আজমাইন ঠিক করে আরিজা আব্বু আম্মুর সাথে কথা বলবে। আজমাইন অফিস থেকে দুপুরের দিকে ছুটি নিয়ে ওদের বাসায় চলে যায়। তারপর কলিং বেল দিতেই আরিজার আম্মু দরজা খুলে দিলো।

আজমাইন - আসসালামু আলাইকুম আন্টি।
আরিজা আম্মু - অলাইকুম আসসালাম আরে বাবা তুমি এই সময় বলে আসবে তো, তাহলে তোমার আব্বুকে গাড়ি পাঠিয়ে দিতে বলতাম, আর আরিজা কোথায়।

আজমাইন - আসলে আপনাদের সাথে কিছু কথা বলার ছিলো।
আরিজা আম্মু - তা না হয় হলো। কিন্তু বাইরে দাঁড়িয়ে আছো কেনো আসো ভেতরে আসো।
আজমাইন ভেতরে গিয়ে বলে।

আজমাইন - আন্টি আঙ্কেল কোথায়।
আজমাইন আম্মু - তোমার আব্বু তো আজকে বাসায়ই আছেন। তুমি বসো আমি ওনাকে ডেকে দিচ্ছি। কিন্তু বাবা একটা কথা বলতো এখনো তুমি আমাদের আঙ্কেল, আন্টি বলে কেনো ডাকো ?

আজমাইন একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললো ।
আজমাইন- ওইটাই হয়তো আর ডাকতে পারবো না।
ও কথাটা বিড় বিড় করে বললো তাই আরিজা আম্মু বুঝতে পারলো।
আরিজা আম্মু - বাবা তুমি কিছু বললে।

আজমাইন - নানা আন্টি আপনি আঙ্কেলকে একটু ডাকুন আমার আপনাদের সাথে জরুরি কিছু কথা আছে।
আরিজা আম্মু - তুমি বস আমি ডেকে দিচ্ছি।
- আজমাইন গিয়ে সোফায় বসলো আর ভাবতে লাগলো।

আজমাইন - যদি আরিজা আব্বু আম্মুকে বোঝাতে পারে তাহলে হয়তো আরিজা অনেক খুশি হবে। তারপর রাফিনকে খুঁজে এনে আরিজা সামনে দাঁড় করাবো, রাফিন হয়তো সবটা মেনে নিবে। আর ভালোবাসার মানুষ ফিরে পেলে রাফিন আরিজাকে অবশ্যই মেনে নিবে।

এর মাঝে আরিজা আব্বু আসলে আজমাইন ওনার সাথে কুশল বিনিময় করে আর বলে।
আজমাইন - আন্টি আঙ্কেল আপনাদের কিছু বলার আছে।
- আরিজা আম্মু চলে যেতে গেলে আজমাইন বললো।

আজমাইন - আন্টি কিছু করার দরকার নেই। আমি আপনাদের সাথে - কথা বলেই চলে যাবো। আমি অফিস ফেলে রেখে আসছি, ভাবলাম কথাগুলো আপনাদের বলা দরকার। প্লিজ আন্টি একটু সময় দিন, একটু বসুন
আজমাইন কথায় আরিজা আম্মু বসলো, তারপর ও একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে, সেই বাসর রাতের ঘটনা থেকে আজকে পর্যন্ত সবটা বললো। সব শোনার পর আরিজার আব্বু, আম্মু মাথা নিচু করে রইলো আর আজমাইন বললো।

চলবে,,,

অবহেলিত স্বামী
পর্ব_৪
লেখকঃ আজমাইন হোসেন_ মিস্টার_লেখক_পিচ্চি

Post a Comment

0 Comments